নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল আল্লামা হাবিবুর রহমান (রহঃ) এর সহধর্মিণীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র (১ম) রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, প্রিন্সিপাল মাওলানা হাবিবুর রহমান সিলেটের ইসলামী আন্দোলনের অগ্রসেনানী। তিনি আফগান যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। সিলেটসহ দেশের ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের বলিষ্ঠ প্রতিবাদী নেতৃত্ব¡ জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ রেখেছে। মাওলানা হাবিবুর রহমান ছিলেন সহীহ্ আক্বীদার পীর, একজন বিশ্ববরেণ্য আলেমে দ্বীন, ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাহসী মর্দে মুজাহিদ। সিলেটকে ইসলামিক শিক্ষায় এগিয়ে নিতে তিনি ও তার পরিবার সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৩ জুন) তিনি জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার ২০০৬ ও ২০০৭ ব্যাচের আয়োজনে সিলেট নগরীর মির্জাজাঙ্গালস্থ একটি অভিজাত হোটেলের হলরুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
জামেয়া মাদানিয়া কাজির বাজার সিলেটের ভাইস প্রিন্সিপাল মুফতি আব্দুর রহমান ইউসুফ এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মুশাহিদ শিকদার এবং মাওলানা আমজাদ হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আনোয়ারুল হক।
প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জামেয়া মাদানিয়া ইসলামিয়া কাজির বাজার মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা সামিউর রহমান মূসা। শুরুতে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের তেলাওয়াত করেন হাফিজ জুম্মান আহমেদ নোমান।
আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা নূর উদ্দিন আহমদ, মাওলানা এমরান আলম, মাওলানা জিলাল আহমদ, জামেয়া মাদানিয়ার সাবেক জি.এস মাওলানা তাফাজ্জুল হক, আঞ্জুমানে তা'লিমুল কোরআন সিলেট মহানগরীর সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হিফজুর রহমান, মাওলানা কয়েছ আহমদ, সিলেট শেখঘাট সানাউল্লাহ মসজিদের সাধারণ সম্পাদক রুয়েল আহমদ, ইমাম মুয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ক্বারী মাওলানা নুরুজ্জামান নোমানী, সিনিয়র সভাপতি ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ মাওলানা বদরুল ইসলাম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী চৌধুরী প্রমুখ। মুফতি আব্দুর রহমান ইউসুফের দোয়ার মাধ্যমে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।