নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সিলেট, শনিবার, (২৭ সেপ্টেম্বর):সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, সিলেট প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ অন্যতম একটি পর্যটন এলাকা।
এ প্রাকৃতিক সম্পদগুলো রক্ষা করেই এখানে পর্যটনের প্রসার ঘটাতে হবে। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
সিলেটে পর্যটনের সম্ভাবনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সরকার পর্যটন খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে বৃহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হবে। এসব প্রকল্প যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে সিলেটের পর্যটন খাত আরো উন্নত হবে। তিনি আরও বলেন, পর্যটন খাতকে ঘিরে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজেই শুধু দিবস উদ্যাপনে সীমাবদ্ধ না থেকে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোকে রক্ষা করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
এর আগে জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২৫ এর উদ্বোধন করা হয়। এরপর একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে ঐতিহাসিক ক্বিন ব্রীজে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে সারদা হলে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও রাজস্ব) দেবজিৎ সিংহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দীপ কুমার সিংহ ও সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকতা এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে র্যালি ও আলোচনা সভা ছাড়াও দিনব্যাপী বিশেষ বিশেষ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এরমধ্যে রয়েছে সচেতনতামূলক সাইক্লিং, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক অপসারণে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দিনব্যাপী পর্যটন মেলা এবং নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপিত ডিসপ্লে ও ক্বিন ব্রীজসংলগ্ন এলাকায় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘ বিশ্ব পর্যটন সংস্থা কর্তৃক প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী পর্যটন দিবস উদ্যাপন করা হয়।