স্টাফ রিপোর্টার বিজয় সাহা :-মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানাধীন মতিগঞ্জ বাজার এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও ডিউটি করাকালীন সময়ে আজ ১১:২০ মিনিটের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে হবিগঞ্জ থেকে একটি সিলভার রংয়ের প্রাইভেটকারে মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য শ্রীমঙ্গল আসছে।
উক্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উর্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার জন্য ১১.৩৫ মিনিটের সময় ঘটনাস্থল শ্রীমঙ্গল থানাধীন শ্রীমঙ্গল টু হবিগঞ্জ রোডের উত্তর পাশে আইয়ুব তালুকদার ফিলিং স্টেশন ২ নং ভূনবীর, ইউপি থানা-শ্রীমঙ্গল এর চেকপোষ্ঠ ডিউটি পরিচালনা করা কালীন সময়ে হবিগঞ্জ থেকে আসা একটি সিলভার রংয়ের প্রাইভেটকার দেখতে পেয়ে থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে গাড়িটি সিগন্যাল অমান্য করে
চেকপোস্টের পরিচালনা কারি অফিসার, ফোর্স গাড়িটিকে সিগন্যাল দিয়ে থামালে গাড়ী থেকে দুইজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গীয় ফোর্স তাৎক্ষণিক গাড়িতেই দুই জন ব্যক্তিকে আটক করে।
পরে উপস্থিত সাক্ষী ১। মালেক মিয়া( ৪২),পিতা মৃত মুনসুর মিয়া,২। সাগর মিয়া (২৪),পিতা-সবুজ মিয়া,উভয় আলিশারকুল,ভূনবীর ইউপি, শ্রীমঙ্গল,জেলা মৌলভীবাজার। ৩। এসআই (সঃ) মোঃ হারুন অর রশিদ.বিপি- ৭৮৯৮০১৩২৫২,৪।হাবিলদার মোস্তাফিজুর রহমান,নং৬৮৮৩৫,
উভয় সিপিসি-২ শ্রীমঙ্গল মৌলভীবাজার র্যাব ৯, সিলেট দের সামনে তাদেরকে জিজ্ঞাসা বাদে উপযুক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে।
পালানোর কারন জিজ্ঞাসা করিলে ধূত আসামী ১।মোঃ জুয়েল মিয়া (২৫), বলেন গাড়ির পিছনে ডালার নিচে গাঁজা আছে। গাড়ি তল্লাশি করে পিছনের ডালা খুলে একটি সাদা প্লাস্টিকের বালতিতে নীল রংয়ের পলিথিনে মোড়ানো ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায় ।
আসামী মোঃ জুয়েল মিয়া (২৫), তার নিজ হাতে বালতি থেকে ৫ টি পলিথিনে মোড়ানো গাঁজা ভর্তি ব্যাগ বের করে দেয়।
চেকপোস্ট টিমের সঙ্গে থাকা ডিজিটাল ওয়েট মেশিন দিয়ে প্রত্যেকটি ব্যাগ পরিমাপ করা হয় যার ৪ টি ব্যাগে যথাক্রমে (১+১+১+১= (চার) কেজি গাঁজা এবং অপর একটি ব্যাগে ৮০০ গ্রাম)=৯৬.০০(ছিয়ানব্বই হাজার) টাকা এবং মাদকদ্রব্য ক্রয় বিক্রয়ের ব্যবহৃত একটি চাবিসহ সিলভার রংয়ের প্রাইভেটকার যার জেরি নং ঢাকা মেট্রো গ ১৭৯৬৮৮ যার চেসিন নং NZEI 21-5035045,ইঞ্জিন নং -INZ-A৫০৫১১০, যার অনুমান মূল্য=৫,০০,০০০ (পাঁচলক্ষ) টাকা উদ্ধার করা হয়।
আমার নির্দেশের সঙ্গীয় অফিসার এসআই(নিঃ) মোঃ লোকমান হোসেন, ইং ০৭/০৮/২০২৫ তারিখ ১২:১০ ঘটিকার সময় উল্লেখিত আলামত সমৃহ জব্দ তালিকা মূলে জব্দ করেন এবং জব্দ তালিকায় সাক্ষীদের স্বাক্ষর গ্রহণ করিয়া নিজেও স্বাক্ষর করেন।
সঙ্গীও অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় জব্দকৃত আলামত ও ধৃত আসামীদ্বয়কে নিজ হেফাজতে নেই।
ধৃত আসামীদ্বয়কে উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামী ১। জুয়েল মিয়া (২৫) জানায় যে আমি এবং ড্রাইভার মোঃ সালেক আহম্মেদ(২৩) দ্বয় পরিবহনযোগে ক্রয়- বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজেদের হেফাজতে রাখিয়া ২০১৮ সনের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ৩৬(১) সারণির ১৯ (ক)/৩৮/৪১ ধারা অপরাধ করিয়াছে বিধায় আসামীদের বিরুদ্ধে উল্লেখিত ধারা মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।